দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হলো লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প। বাংলার জনপ্রিয় এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা মাসে ₹১,০০০ এবং তপশিলি উপজাতির মহিলারা ₹১,২০০ ভাতা পান। এর ফলে রাজ্যের মহিলারা ভীষণভাবে উপকৃত হচ্ছেন এবং এই টাকা প্রতি মাসের ৫ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়, যা ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মহিলাকে আর্থিকভাবে ভরসা দিয়েছে। কিন্তু এই মহিলাদের জন্য এবার চলে এসেছে আরও একটি বিশাল বড় সুখবর। এবার লক্ষী ভান্ডার কে পিছনে ফেলে দিয়ে কেন্দ্রের একটি বিশাল বড় প্রকল্প এসেছে যার মাধ্যমে মহিলারা প্রতি মাসে পেয়ে যেতে পারেন ৭,০০০ করে টাকা। আপনি যদি একজন মহিলা হয়ে থাকেন এবং প্রতি মাসে ৭০০০ টাকা পেতে চান তাহলে অবশ্যই বিস্তারিতভাবে এই আপডেটটি জেনে নিতে পারেন নিচে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।
নতুন প্রকল্পে কী থাকছে?
রাজ্য সরকার যেমন রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এবং আর্থিক সহায়তার দিতে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছেন তেমনি এই প্রকল্পটি চালু করছে মোদী সরকার, মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে। সমগ্র দেশের লক্ষ লক্ষ মহিলা এর সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পে আবেদন জানালে প্রতি মাসে ₹৭,০০০ টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে ৫০ হাজারেরও বেশি মহিলা নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং এই প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করছেন।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
এই ভাতার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা রাখা হয়েছে—
- আবেদনকারীকে মহিলা হতে হবে।
- আবেদনকারী মহিলা কে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে
- এখানে আবেদন করতে হলে আবেদনকারী কে ন্যূনতম ১০ম শ্রেণি পাশ হতে হবে।
- যে সমস্ত মহিলারা এখানে আবেদন জানাতে ইচ্ছুক তাদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৭০ বছর এর মধ্যে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য এবং তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করার জন্য মূলত কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্প আনা হয়েছিল। লক্ষী ভান্ডারে ১০০০ বা ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয় এই টাকায় মহিলাদের সংসার খরচ চলে না তবে নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা আরো অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন এবং তারা স্বনির্ভর হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবেন।
- এই প্রকল্পের মূল ও প্রধান উদ্দেশ্য হল মহিলাদের স্বনির্ভর করা।
- পরিবারের আর্থিক সুরক্ষা বৃদ্ধি। একটি পরিবারের পুরুষ উপার্জন করে এর পাশাপাশি মহিলারা উপার্জন করে পরিবারে আর্থিক সুরক্ষা বৃদ্ধি করবে।
- দেশের অর্থনীতিতে মহিলাদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা। শুধুমাত্র পুরুষেরা দেশের অর্থনীতিতে অগ্রগতি করলে সমাজ ততটা উন্নত হবে না যতটা মহিলারা অগ্রগতি করলে সমাজ উন্নত হবে।
- উন্নত ভারত গঠন এর লক্ষ্যে মহিলাদের ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে ভারত সরকারের মূল উদ্দেশ্য।
প্রকল্পের নাম: ইতিমধ্যেই এখানে যে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে সেটি হল বিমা সখী যোজনায় যেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি মহিলা নাম নথিভুক্ত করেছেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে তুলনা
প্রকল্প | প্রতি মাসে ভাতা | কারা পান |
---|---|---|
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার | সাধারণ মহিলা: ₹১,০০০ তপশিলি উপজাতি মহিলা: ₹১,২০০ | পশ্চিমবঙ্গের মহিলা |
নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্প | ₹৭,০০০ | সারা ভারতের যোগ্য মহিলা |
মহিলাদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প?
মহিলাদের আর্থিকভাবে সুরক্ষিত করতে এবং তাদের কর্মসংস্থান দিতে এই প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমে মহিলাদের সরাসরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং প্রশিক্ষণ চলাকালীন মহিলাদের হাতে টাকা দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পাশাপাশি মহিলারা উপার্জন শুরু করে এবং প্রশিক্ষণ শেষে মহিলারা নিজের ইচ্ছামত কাজ করে আরো অনেক বেশি উপার্জন করতে পারবে এমনকি প্রতিমাসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে এখানে। এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে-
- মাসিক ভাতা পাওয়ায় আর্থিক স্বাধীনতা বৃদ্ধি পাবে।
- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও সন্তানের খরচ মেটাতে সহজ হবে।
- মহিলারা ছোটখাটো ব্যবসা বা উদ্যোগে টাকা খরচ করতে পারবেন।
- গ্রামের মহিলারাও এই প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন। এবং গ্রামের মানুষদের এই প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন করে সকলকে এই কাজে এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করতে পারবে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জীবনে বড় পরিবর্তন এনেছে। তবে লক্ষী ভান্ডারের পাশাপাশি এবার কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন এই প্রকল্পে মাসে ₹৭,০০০ ভাতা দেওয়া হলে সারা দেশের মহিলারা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। এর ফলে তারা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যেমন ভাতা পাবে ঠিক তেমনি কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা পেয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক মাইলফলক হয়ে উঠবে।
তাই আপনি যদি মাধ্যমিক পাশ করে থাকেন তাহলে আর দেরি করবেন না বিস্তারিতভাবে এই প্রকল্প সম্বন্ধে জেনে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করলেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি মাসে মাসে ঢুকে যাবে ₹৭,০০০ টাকা।

My name is Sujit Roy, and I have been involved in content writing for the past four years. I provide various types of informative content for users.