২০২৬ এর আগে ভারতে হতে যাচ্ছে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ইতিমধ্যে জানা যাচ্ছে ১০ লক্ষ শিক্ষক শূন্যপদ রয়েছে স্কুলগুলোতে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপের ঘোষণা এসেছে শিক্ষা সংসদ থেকে। শিক্ষা সম্পর্কিত একটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে, সারা দেশে প্রায় ১০ লক্ষ শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এর মধ্যে ৭.৫ লক্ষ শূন্যপদ শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরে (PRT)। এই শূন্য পদগুলি দ্রুত পূরণের কথা বলা হয়েছে এবং এর জন্য ৩১ মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।যারা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করতে আগ্রহী তাদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ ও বড় চ্যালেঞ্জ।

শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকের ঘাটতি
শিক্ষক স্বল্পতা নতুন কিছু নয়, কিন্তু এই রিপোর্টে উঠে এসেছে চমকে দেওয়ার মতো পরিসংখ্যান। এত সংখ্যক শিক্ষক শূন্য নিয়ে কিভাবে স্কুলগুলো চলছে? শের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও বহু স্কুল রয়েছে যেখানে একজন শিক্ষক পুরো স্কুল চালাচ্ছেন। তাই শিক্ষার বহাল দশা। এমন অবস্থা গ্রামীণ এলাকায় বেশি দেখা যায়, যা শিক্ষার মানকে প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
সংসদের স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে —
- মোট শূন্য পদ: প্রায় ১০ লক্ষ শূন্যপদ
- প্রাথমিক স্তর (PRT): প্রায় ৭.৫ লক্ষ শূন্যপদ
- শূন্য পদের সর্বাধিক রাজ্য: উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ
- নিয়োগের শেষ সময়সীমা: ৩১ মার্চ ২০২৬ এর মধ্যে যেকোনোভাবেই হোক নিয়োগ করতেই হবে।
- কমিটির বার্তা: রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রকে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের সংখ্যা
প্রতিষ্ঠান / স্তর | শূন্য পদের সংখ্যা |
---|---|
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় (KVS) | ৭,৭৬৫ |
নবোদয় বিদ্যালয় (NVS) | ৪,৩২৩ |
বিশ্ববিদ্যালয় স্তর | ৫,৪১০ |
অন্যান্য (ER, SSA, D-SSB ইত্যাদি) | জরুরি ভিত্তিতে পূরণ নির্দেশ |
এক শিক্ষক নির্ভর স্কুল — বড় সমস্যা
রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও হাজার হাজার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে যেখানে কেবলমাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন। এইভাবে শিক্ষা পরিচালনা করা কোনো মতেই সম্ভব নয় আর এর ফলে শিক্ষার মান কমে যায়। অন্যদিকে শিক্ষকও অতিরিক্ত চাপে পড়ছেন। তাই দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ প্রয়োজন।
নিয়োগে বহুদলীয় সমর্থন
সকলেই এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেছে। ফলে এই নির্দেশের বাস্তবায়নে রাজনৈতিক বাধা তেমন থাকবে না। শিক্ষার মান উন্নত করতে হলে প্রতিটি স্কুলে প্রচুর শিক্ষক প্রয়োজন। তাই দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য রাজ্য সরকারগুলোর ওপর চাপ বাড়বে।
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সোনায় সোহাগা
যারা KVS, NVS, DSSSB, BPSC, UPTET, SUPER TET, LT Grade ও রাজ্য সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষক ইত্যাদি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য এটি একটি জীবনের মোড় ঘোরানো সুযোগ। যারা শিক্ষক হতে চান এখনই সিলেবাস রিভিশন শুরু করুন। বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন ও মক টেস্ট দিয়ে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করুন।
শিক্ষাক্ষেত্রে এই নিয়োগ হবে একটি গেম-চেঞ্জার। চাকরি প্রার্থীদের জন্য এত বড় নিয়োগ সুযোগ সচরাচর আসে না। এখনই প্রস্তুতি শুরু করুন, কারণ ৩১ মার্চ ২০২৬-এর সময়সীমা চোখের পলকে চলে আসবে। তাই যারা যারা শিক্ষক হতে চান তারা সকলেই প্রস্তুতি শুরু করুন।

My name is Sujit Roy, and I have been involved in content writing for the past four years. I provide various types of informative content for users.